অনেক দিন ধরে ভূত ভতালি নিয়ে একটা নাটকের কথা ভাবছিলাম। ভূত নিয়ে নানা রকম বই ঘেঁটেছি। ঠাকুরমার ঝুলি, শেক্সপীয়র, লিও টলস্টয়, রবীন্দ্রনাথ, রাজশেখর বসু যতই ঘাঁটি ততই সংশয় আর দ্বিধায় আক্রান্ত হই। একবার ভাবি ভূত আছে, একবার, ভাবি ভূত নেই।
শেষে স্থির জানলাম, ভূত আছে। সবার মনে ও বিশ্বাসে ভূত গিজ...
আরো পড়ুন
অনেক দিন ধরে ভূত ভতালি নিয়ে একটা নাটকের কথা ভাবছিলাম। ভূত নিয়ে নানা রকম বই ঘেঁটেছি। ঠাকুরমার ঝুলি, শেক্সপীয়র, লিও টলস্টয়, রবীন্দ্রনাথ, রাজশেখর বসু যতই ঘাঁটি ততই সংশয় আর দ্বিধায় আক্রান্ত হই। একবার ভাবি ভূত আছে, একবার, ভাবি ভূত নেই।
শেষে স্থির জানলাম, ভূত আছে। সবার মনে ও বিশ্বাসে ভূত গিজ গিজ করছে। সমাজ আর রাজনীতিতে ভূতের প্রবল সাম্রাজ্য। আমাদের মতো দেশে ভূতরাই নাকে দড়ি দিয়ে সবাইকে ঘুরপাক খাওয়াচ্ছে। বাংলাদেশে এখন ভূতদেরই যত ভাগা ভাগি। দেশটা যেন ভূতের ভাগাড় হয়েছে।
সে থাক গে, ভূত নিয়ে যা ভেবেছিলাম, তা ছেড়ে দিয়ে, নিজের কালের ভূতভূতালি আর মানুষদের নিয়ে বটবৃক্ষ রচনা করলাম। মানুষ আছে আলোর রাজ্যে আর ভূতরা আছে বটবৃক্ষের গহীন অন্ধকারে। খালি পিছু টানছে, ভয় দেখাচ্ছে আর মন্ত্র ফুঁকছে।
সে বটবৃক্ষকে আঘাত হেনেছি। উদ্দেশ্য একটাই অন্ধকার তাড়িয়ে আলো আনব। মানুষ আলো জ্বালাবার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মশাল ধরেছে। জয় তাদের হবেই। আজ না হোক কাল হবে, কাল না হলে পরশু হবে। আলো জ্বালাতেই হবে। সবার ওপরে মানুষের সত্য তাহার ওপরে নাই। থিয়েটার আগুন জ্বালাবার শপথ নিয়েছে।
এখন নাটক হয় পণ্যের বিচারে। যে নাটক দর্শক খাবে, সে নাটকে অভিনয় করলে অতি সহজেই মিডিয়ার মধ্যে ঢুকতে পারব, এমন অভিলাষ নিয়ে কেউ কেউ কাজ করে। এমন যাদের অভিলাষ তাদের জন্য অপেক্ষা করিনি। বটবৃক্ষে নতুন নতুন ছেলে মেয়ে অভিনয় করে কঠিন পরীক্ষা দিল। আমার যত ভালবাসা থিয়েটারের এই নির্মোহ অপরিচিত শিল্পীদের জন্য।
বটবৃক্ষের ওপর দমকে দমকে মেঘের তাড়না এসেছিল। এ মেঘ যায় তো, আর এক মেঘ চোখ পাকায়। গ্রুপ থিয়েটার যারা করেন, সকলেই মেঘ নিয়ে চলেন। মেঘের তাড়াকে তাড়িয়েই বেঁচে থাকতে হয়। বটবৃক্ষের ধরম করম মেঘ বৃষ্টির মধ্যেই সৃজিত হল। যারা আমাকে নানাভাবে পরামর্শ আর প্রয়োগ দিয়ে সাহায্য করেছেন সবাইকে ভালবাসা। ওরা আমার প্রিয়, আমিও ওদের গুণগ্রাহী।
বটবৃক্ষ যদি দর্শকদের ভাল লেগে যায়, তবে জানব, এত আপদ বিপদ,
কম দেখান