হঠাৎ রুমের মেঝেতে আবার একটা শব্দ হলো। যেন মেঝেতে কোনো বড় আকারের মাছ রেখে দেওয়া হয়েছে৷ সেই মাছের লেজের ঝাপটাতেই এরকম শব্দের উৎপত্তি৷
কয়েকবার নাক টান দিলেন তিনি। মাছের গন্ধ পাওয়া গেল না। অবশ্য, সেটাই স্বাভাবিক। লাশের গন্ধ পেতে পেতে ডোমদের নাক একসময় ভোঁতা হয়ে যায়৷
চোখ নেমে এল তাঁর। মনে হচ্ছে...
আরো পড়ুন
হঠাৎ রুমের মেঝেতে আবার একটা শব্দ হলো। যেন মেঝেতে কোনো বড় আকারের মাছ রেখে দেওয়া হয়েছে৷ সেই মাছের লেজের ঝাপটাতেই এরকম শব্দের উৎপত্তি৷
কয়েকবার নাক টান দিলেন তিনি। মাছের গন্ধ পাওয়া গেল না। অবশ্য, সেটাই স্বাভাবিক। লাশের গন্ধ পেতে পেতে ডোমদের নাক একসময় ভোঁতা হয়ে যায়৷
চোখ নেমে এল তাঁর। মনে হচ্ছে এবার একটু ঘুম হবে৷ বেশ কয়েকঘণ্টা ঘুমালেন তিনি। ঘুম ভাঙ্গল রাত দুটোয়। ঘুম ভাঙ্গার পর ময়নাল উদ্দিন টের পেলেন—তিনি বিছানায় নেই৷ তাঁকে বন্দি করা হয়েছে মর্গের ফ্রিজে ৷ এটা ডবল কেবিন। ডবল কেবিনে দুটো লাশ একসাথে রাখা যায়। তার মানে, ময়নাল উদ্দিনের বাম পাশে অথবা ডান পাশে আরো একটি লাশ রয়েছে।
তিনি কোনোপাশেই তাকানোর সাহস পাচ্ছেন না৷ হিমাগারের হিমশীতল বাতাসে শরীরের নিম্নাংশ পরিণত হয়েছে বরফ পিণ্ডে। প্রাণপণে কয়েকবার শ্বাস নিয়ে ময়নাল বামে তাকালেন৷
কম দেখান