বিশ্বনবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

'আপনি বলুন (অবিশ্বাসীদেরকে, হে মুহাম্মদ!): আমি তোমাদেরকে একথা বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভাণ্ডার আছে বা আমি অদৃশ্য বিষয় সম্বন্ধে অবগত; এবং আমি তোমাদের একথাও বলি না, দেখো, আমি একজন ফেরেশতা। আমি শুধু সেই ওহীর অনুসরণ করি যা আমার ওপর নাজিল হয়। আপনি বলুন: অন্ধ ও চক্ষুষ্মান ব্যক্তি কি... আরো পড়ুন

'আপনি বলুন (অবিশ্বাসীদেরকে, হে মুহাম্মদ!): আমি তোমাদেরকে একথা বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভাণ্ডার আছে বা আমি অদৃশ্য বিষয় সম্বন্ধে অবগত; এবং আমি তোমাদের একথাও বলি না, দেখো, আমি একজন ফেরেশতা। আমি শুধু সেই ওহীর অনুসরণ করি যা আমার ওপর নাজিল হয়। আপনি বলুন: অন্ধ ও চক্ষুষ্মান ব্যক্তি কি সমান? তোমরা কি তবু ভেবে দেখবে না?' -কুরআন- ৬:৫০ আমি যখন তেহরান ত্যাগ করি, তখন আমি ক্লান্ত ছিলাম; ক্লান্ত ছিলাম দৈহিক ও মানসিকভাবে। অন্য কোনো কাজে না থেকে পনেরো বছর ধরে শুধু পত্রিকা সম্পাদনা এবং সাংবাদিকতা করা ও এর উত্থান-পতনের সাথে জড়িত থাকা নিঃসন্দেহে ক্লান্তিকর। এ কারণে এবং তৎকালীন সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে আমি আমার পত্রিকা 'ইরান' ত্যাগ করি। এ সংবাদপত্রের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করি। আমার আশা ছিল, এ পত্রিকাকে আমি দেশের একটি শ্রেষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব। আমার এ সময়টা ছিল দেশ থেকে দূরে কয়েকটা বছর কাটিয়ে দেওয়ার, আমার সাথে থাকবে কেবল আমার চিন্তা ও অনুভূতি। সেই চিন্তা ও অনুভূতি হবে বাতাসের মতো স্বাধীন, যা পাঠকের চেতনায় কিছুটা আধ্যাত্মিক উজ্জ্বলতা দান করবে এবং যা মানুষের হৃদয় ও আত্মার সাথে একটা সম্পর্ক গড়ে তুলবে। আমার ভ্রমণশীল এ ক্ষণস্থায়ী জীবনের আবেগপ্রবণতায় তা এনে দেবে কিছুটা বিশ্রাম ও প্রশান্তি। ওই চিন্তা ও চেতনা যা অন্যভাবে প্রকাশ করা যেত না এবং যা একজন মানুষের বহু বছরের শ্রমসাধ্য জীবনকে আঘাত করতে পারত না তা তার অস্তিত্ব ও সামগ্রিক কাঠামোর ভিত্তিকে আকস্মিকভাবে ধ্বংস করতে পারে না। এ সম্পর্কে অবশ্য যথেষ্ট বলা হয়েছে। রাজনীতিকে আমরা রাজনীতিবিদদের কাছে ছেড়ে দিয়েছি এবং আমরা আশ্রয় নিয়েছি দূরবর্তী এক স্থানে। কিন্তু আমাদের প্রিয় দেশের জন্য আমাদের অন্তরে রয়েছে গভীর ভালোবাসা এবং তা সযত্নে সংরক্ষণ করে বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) কম দেখান