আইজ্যাক আসিমভ যখন বইটি লেখেন তখন তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকানদের সবকিছুর শুরু ও বিবর্তন সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা দিবেন। কিন্তু বইটি শুধু বিজ্ঞানের ওপর আলোকপাত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ বইটি লেখা হয়নি। বইয়ের শুরুর দিকের কয়েকটি অধ্যায়ে বিজ্ঞানের কথা নেই বললেই চলে।প্রাগৈতিকহাসিক যুগের ইতিহাস দিয়ে শুরু হয়েছে। তারপর ইতিহাস থেকে...
আরো পড়ুন
আইজ্যাক আসিমভ যখন বইটি লেখেন তখন তাঁর উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকানদের সবকিছুর শুরু ও বিবর্তন সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা দিবেন। কিন্তু বইটি শুধু বিজ্ঞানের ওপর আলোকপাত করার উদ্দেশ্য নিয়ে এ বইটি লেখা হয়নি। বইয়ের শুরুর দিকের কয়েকটি অধ্যায়ে বিজ্ঞানের কথা নেই বললেই চলে।প্রাগৈতিকহাসিক যুগের ইতিহাস দিয়ে শুরু হয়েছে। তারপর ইতিহাস থেকে সরে যেতে যেতে আসিমভ আলোচনা করেছেন স্তন্যপায়ী প্রাণী ও সরীসৃপদের উদ্ভবের কথা। বিষয় হিসেবে এটি প্রাণিবিজ্ঞান হলেও স্থলচর প্রাণীদের আলোচনার অবকাশে তিনি স্থলভাগ সৃষ্টি, এর উতকর্ষতা এবং বিবর্তনের ইতিহাস জানিয়েছেন।পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর, মহাদেশ, বনভূমি আর আগ্নেয়গিরির সৃষ্টির কথাও বর্ণিত হয়েছে। এরপর সোরজগত, মহাশূন্য, সূর্য, চাঁদ, গ্যালাক্সির প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এ গ্রন্থে। তাই এই বইটি কখনো বিজ্ঞানের বই, কখনো ইতিহাসের বই, কখনো ভূবিজ্ঞানের বই আবার কখনো প্রাণিবিজ্ঞানের বই হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। দ্য গডস দেমসেলভস এর জন্য তিনি একই সাথে হুগো ও নেবুলা এওয়ার্ড লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে সাইন্স ফিকশন রাইটার্স এসোসিয়েশন অব আমেরিকা তাকে গ্রান্ড মাস্টার অব সাইন্স ফিকশন এর সম্মানে ভূষিত করে।
কম দেখান