আফ্রিকার সাহিত্য আনন্দ-সাহিত্য নয়। আফ্রিকার লেখকেরা বড়ো বড়ো সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে তাঁদের সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে উপস্থাপন করেছেন। আফ্রিকার ছোটোগল্পের ক্ষেত্রেও একথা সর্বাংশে সত্য। ছোটোগল্পের পথচলার ইতিহাসও সহজ নয়। নানান অভিঘাত সয়ে, ইতিহাসের নানান জটিল বাঁক পেরিয়ে এটি আজকের অবস্থানে এসে উপনীত হয়েছে। এর শিরায় শিরায় বয়ে চলেছে প্রতিবাদের অনলে উষ্ণ...
আরো পড়ুন
আফ্রিকার সাহিত্য আনন্দ-সাহিত্য নয়। আফ্রিকার লেখকেরা বড়ো বড়ো সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে তাঁদের সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে উপস্থাপন করেছেন। আফ্রিকার ছোটোগল্পের ক্ষেত্রেও একথা সর্বাংশে সত্য। ছোটোগল্পের পথচলার ইতিহাসও সহজ নয়। নানান অভিঘাত সয়ে, ইতিহাসের নানান জটিল বাঁক পেরিয়ে এটি আজকের অবস্থানে এসে উপনীত হয়েছে। এর শিরায় শিরায় বয়ে চলেছে প্রতিবাদের অনলে উষ্ণ শোণিত। এর শিকড় আফ্রিকার ঐতিহ্যের মধ্যে প্রোথিত। কারণ আফ্রিকা ঔপনিবেশিকতা, পশ্চিমা আধিপত্য, নিপীড়ন, শোষণ ও অমর্যাদার শিকার হয়েছে যেভাবে এবং যতভাবে, পৃথিবীর আর কোনো দেশ বা জাতি সেভাবে ততটা হয়নি। কালোরা মানুষ নয়, ওরা সাব-হিউম্যান বা ঊনমানুষ ওদের কোনো সভ্যতা নেই, ইতিহাস নেই, আত্মপরিচয় নেই- এভাবে লেবেলিং বা ব্র্যান্ডিং করার পেছনে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদী ও আধিপত্যবাদীদের উদ্দেশ্য ছিল একটাই- এদের দাস বানিয়ে নিজেদের পুঁজির পাহাড় গড়ে তোলা। বিরাজমান এই বাস্তবতার মধ্য দিয়েই আফ্রিকার ছোটোগল্পের বিকাশ ঘটেছে। গত চার-পাঁচ দশকে আফ্রিকার সাহিত্যে এই সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ছোটোগল্পের বিকাশ লক্ষণীয় একটি ব্যাপার। আফ্রিকার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ছোটোগল্প গ্রন্থে বর্ণিল লোকজ উপকরণে সমৃদ্ধ অসাধারণ বৈচিত্র্যমণ্ডিত এক আফ্রিকার ছবি ফুটে উঠেছে।
কম দেখান