তাসনুভা আনান। ডাকনাম শিশির। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এই অভিনয় শিল্পীর জন্ম ১৯৯১ সালের ১৬ জুন, বাগেরহাট জেলার মংলা থানার কুমারখালি গ্রামে। বাবা প্রয়াত শামসুল হক ও মা জামিরোন বেগম।
মাস্টার্স শেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও নারীসহ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করেন। এরপর ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে অর্জন করেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি।
বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্স নারী সংবাদপাঠক হিসেবে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নারী দিবসে বৈশাখী টেলিভিশনের পর্দায় চিরকালীন অচলায়তন...
আরো পড়ুন
তাসনুভা আনান। ডাকনাম শিশির। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এই অভিনয় শিল্পীর জন্ম ১৯৯১ সালের ১৬ জুন, বাগেরহাট জেলার মংলা থানার কুমারখালি গ্রামে। বাবা প্রয়াত শামসুল হক ও মা জামিরোন বেগম।
মাস্টার্স শেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও নারীসহ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করেন। এরপর ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে অর্জন করেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি।
বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্স নারী সংবাদপাঠক হিসেবে ২০২১ সালের ৮ মার্চ নারী দিবসে বৈশাখী টেলিভিশনের পর্দায় চিরকালীন অচলায়তন ভেঙে ইতিহাস রচনা করেন, যা বাংলাদেশের ট্রান্স নারীদের উন্নয়নে অন্যতম মাইলফলক।
একজন ট্রান্স নারী হয়ে তথাকথিত সমাজের পুরুষশাসিত নিয়ম ভেঙে প্রতিস্থাপন করেছেন মানবাধিকার ও সাম্যের অন্যতম নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত।
পেশাদার অভিনয় শিল্পী হিসেবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে মেইনস্ট্রিম থিয়েটার অঙ্গনে অন্যতম পরিচিত মুখ তিনি। অভিনয় করেছেন বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে। মডেল হিসেবে হেঁটেছেন নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মঞ্চেও। একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ওখএঅ ওয়ার্ল্ড বোর্ডে একটি অনন্য অবস্থানও রেখেছেন।
তিনি তার প্রতিভার জন্য ড্রামা ডেস্ক পুরস্কার পেয়েছেন, যা বাংলাদেশে ট্রান্স ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকারের প্রচারে তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য অনন্যা মানবাধিকার পুরস্কার। ‘পারিখ’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে লেখক হিসেবে তার প্রথম আত্মপ্রকাশ।
কম দেখান