অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের জন্ম খুলনার দৌলতপুরের মির্জা পরিবারে ১৯৩৬ সালে। বাবা ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা ইব্রাহীম হোসেন ও মাতা বেগম নুরন্নেসা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ সম্পন্ন করে শিক্ষকতার পেশা বেছে নেন ষাটের দশকে। ঢাকার আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরবর্তী সময় জাতীয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে বাংলার অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষক জীবনের সিংহভাগ সময় কাটান।
ইডেন কলেজের ছাত্রী মনোয়ারা ইসলাম ১৯৫২-র ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরবর্তী সময় ‘ভাষাসৈনিক’ হিসেবে সম্মাননা ও স্বীকৃতিও পেয়েছেন অনেক...
আরো পড়ুন
অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামের জন্ম খুলনার দৌলতপুরের মির্জা পরিবারে ১৯৩৬ সালে। বাবা ব্রিটিশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা ইব্রাহীম হোসেন ও মাতা বেগম নুরন্নেসা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে এমএ সম্পন্ন করে শিক্ষকতার পেশা বেছে নেন ষাটের দশকে। ঢাকার আজিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরবর্তী সময় জাতীয় গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে বাংলার অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষক জীবনের সিংহভাগ সময় কাটান।
ইডেন কলেজের ছাত্রী মনোয়ারা ইসলাম ১৯৫২-র ভাষা-আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরবর্তী সময় ‘ভাষাসৈনিক’ হিসেবে সম্মাননা ও স্বীকৃতিও পেয়েছেন অনেক সংগঠন থেকে।
বেতারে ‘কিষাণবধূ’, ‘মহিলা মাহফিল’, ‘কচি-কাঁচার মেলা’ পরিচালনায় আর টেলিভিশন-বেতারে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থাপনায় তিনি বহুল প্রশংসা পেয়েছেন। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ইউনিভার্সিটি উইমেন ও সরপ্টিমিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি, উইমেন্স ভলান্টারি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।
২০১৪-১৫ সালে রোটারি ৩২৮২ ডিস্ট্রিক্টের ডেপুটি গভর্নর ছিলেন মনোয়ারা ইসলাম (MPHF–PHFS)।
ইকেবানায় জাপানের ওহারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ‘গ্র্যান্ডমাস্টার’ ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্বামী প্রয়াত কাজী নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। এক কন্যা, জামাতা, দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও ছয় নাতি-নাতনি নিয়ে তাঁর পরিবার।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অনিয়মিতভাবে লিখেছেন সারাজীবন। ভ্রমণ করেছেন এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া আর উত্তর আমেরিকার অনেক দেশ।
বর্তমানে ঢাকায় অবসর জীবনযাপন করছেন।
কম দেখান