খান আবদুল ওয়ালী খান (পশতু: خان عبدالولي خان; ১১ জানুয়ারি ১৯১৭ – ২৬ জানুয়ারি ২০০৬) একজন পাকিস্তানি ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রপন্থী সমাজতান্ত্রিক ও পশতুন নেতা ছিলেন যিনি আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশিষ্ট পশতুন জাতীয়তাবাদী নেতা আবদুল গফফার খানের পুত্র ওয়ালী খান তার পিতার মতো ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে একজন কর্মী ও লেখক ছিলেন।[১]
তার প্রথম বছরগুলো তার পিতার অহিংস প্রতিরোধ আন্দোলন, ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে "লাল শার্ট"-এ জড়িত থাকার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তিনি তার প্রথম বছরগুলোয় একটি হত্যাকাণ্ড থেকে অল্পের...
আরো পড়ুন
খান আবদুল ওয়ালী খান (পশতু: خان عبدالولي خان; ১১ জানুয়ারি ১৯১৭ – ২৬ জানুয়ারি ২০০৬) একজন পাকিস্তানি ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রপন্থী সমাজতান্ত্রিক ও পশতুন নেতা ছিলেন যিনি আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশিষ্ট পশতুন জাতীয়তাবাদী নেতা আবদুল গফফার খানের পুত্র ওয়ালী খান তার পিতার মতো ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে একজন কর্মী ও লেখক ছিলেন।[১]
তার প্রথম বছরগুলো তার পিতার অহিংস প্রতিরোধ আন্দোলন, ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে "লাল শার্ট"-এ জড়িত থাকার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। তিনি তার প্রথম বছরগুলোয় একটি হত্যাকাণ্ড থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান এবং পরে তাকে দেরাদুনের কর্নেল ব্রাউন কেমব্রিজ বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।[২] কিশোর বয়সে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে সক্রিয় হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর ওয়ালী খান তার রাজনৈতিক কর্মজীবনে পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন কারণ তিনি কংগ্রেসের সাথে যুক্ত ছিলেন যা পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল।[৩][৪]
পরবর্তী বছরগুলোতে একজন সম্মানিত রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি পাকিস্তানের তৃতীয় সংবিধানে অবদান রাখেন এবং ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন।[৫] ১৯৭০-এর দশকে তিনি পাকিস্তানের প্রথম সরাসরি নির্বাচিত সংসদে বিরোধী দলের সংসদীয় নেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাপকভাবে পরিচিত না হলেও ওয়ালী খান অতীতে তার পিতার অহিংস আন্দোলন, খোদায়ী খেদমতগার-এর উপর পশতু ভাষায় একটি বই লিখেছিলেন। ১৯৮৬ সালে, তিনি ফ্যাক্টস আর ফ্যাক্টস নামে আরেকটি বই প্রকাশ করেন।[২৭] এই বইটি বহু বছর ধরে ক্রমান্বয়ে লেখা হয়েছিল এবং পাকিস্তান সৃষ্টির আগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সমালোচনামূলক ও গোপনীয় নথি অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ওয়ালী খান সেই নথিগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে অভিযোগ করেন যে পাকিস্তান গঠন ব্রিটিশদের একটি ইচ্ছাকৃত "ডিভাইড অ্যান্ড রুল" নীতির অংশ হিসেবে করা হয় এবং মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ (পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা), বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও সামন্ত জমিদারদের সাথে তাদের পক্ষে কাজ করেছিলেন।[২৭]
কম দেখান