হারুন অর রশিদ
ছোটবেলার একটা স্মৃতি আমার মাথায় পাকাপাকিভাবে গেঁথে আছে। শীতের সকাল। বাড়ির উঠোনে মিষ্টি রোদে বসে গল্প করছে বড়রা, এক চাচির মাথায় তেল মাখিয়ে দিচ্ছে কেউ একজন। স্কুল থেকে আমি তখন তৃতীয় শ্রেণির নতুন বই হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। এসেই তাদের মাঝে মাদুরের উপর বসে ‘আমার বাংলা বই’ খুলে পড়তে শুরু করেছি।
এরপর প্রতিবছর নতুন বই হাতে পাওয়ার পর আমার প্রথম কাজই হতো, বাংলা বইয়ের সবগুলো গল্প পড়ে ফেলা।
বাড়াবাড়ি পর্যায়ের পড়ার নেশা ছিল। যেকারও বাড়িতে গেলে পড়ার টেবিলে...
আরো পড়ুন
হারুন অর রশিদ
ছোটবেলার একটা স্মৃতি আমার মাথায় পাকাপাকিভাবে গেঁথে আছে। শীতের সকাল। বাড়ির উঠোনে মিষ্টি রোদে বসে গল্প করছে বড়রা, এক চাচির মাথায় তেল মাখিয়ে দিচ্ছে কেউ একজন। স্কুল থেকে আমি তখন তৃতীয় শ্রেণির নতুন বই হাতে নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। এসেই তাদের মাঝে মাদুরের উপর বসে ‘আমার বাংলা বই’ খুলে পড়তে শুরু করেছি।
এরপর প্রতিবছর নতুন বই হাতে পাওয়ার পর আমার প্রথম কাজই হতো, বাংলা বইয়ের সবগুলো গল্প পড়ে ফেলা।
বাড়াবাড়ি পর্যায়ের পড়ার নেশা ছিল। যেকারও বাড়িতে গেলে পড়ার টেবিলে যে বই পেতাম সেটাই পড়তাম। সিনিয়রদের পাঠ্যপুস্তক, ঝালমুড়ির ঠোঙা, রাস্তায় পড়ে থাকা কাগজ- বাদ যেত না কিছুই!
পাঠক হিসেবে যতটা সক্রিয় ছিলাম, লেখক হিসেবে কখনই ততটা নয়।
তাই, দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় কিশোর ক্ল্যাসিক ‘ভয়ঙ্কর দ্বীপ’ প্রকাশিত হলেও, তার ১৭ বছর পর বেরোল আমার প্রথম উপন্যাস- পরম্পরা।
এরপর বেরিয়েছে থ্রিলার উপন্যাস কে বলিল হত্যাকাণ্ড পাপ! এবং মাস্টারপিস।
কেউ কেউ ফেরে নাÑ আমার চতুর্থ উপন্যাস।
পেশাজীবনে আমি একজন চিকিৎসক, কিন্তু রোগী না দেখে করি গোয়েন্দাগিরি! মানব শরীরের টিস্যু থেকে খড়ের গাদায় সুচ খোঁজার মতো করে খুঁজে বের করি ক্যান্সারের কোষ।
প্রচণ্ড ইচ্ছা আছে গবেষক হওয়ার। কিন্তু দেওয়াল ফুঁড়ে বেরোনো একটা বটগাছ, কিংবা যানজটে গোলাপ হাতে দাঁড়ানো কোনো ক্ষুধাতুর শিশুকে দেখলেই ইচ্ছে করে সব ছেড়েছুঁড়ে শুধু লিখে যাই...।
এই দ্বিধা নিয়েই হয়তো কেটে যাবে পৃথিবীর এই ছোট্ট সফর।
কম দেখান