ফরহাদ খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৪৪ (অথবা ১৯৪৫)। পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমলা গ্রামে। তবে এখন নিজস্ব নিবাস রাজশাহী শহরের পদ্মা আবাসিক এলাকায়।
আমলা-সদরপুর প্রাইমারি স্কুল, আমলা-সদরপুর এইচ-ই স্কুল, মেহেরপুর কলেজ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সমাপ্তি। কর্মজীবনের শুরু ১৯৭০-এ কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে। সেখান থেকে বাংলা একাডেমিতে ১৯৭৩ সালে। অবসর গ্রহণ ২০০২ সালে বাংলা একাডেমির ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে। মাঝখানে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিন বছর...
আরো পড়ুন
ফরহাদ খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৪৪ (অথবা ১৯৪৫)। পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমলা গ্রামে। তবে এখন নিজস্ব নিবাস রাজশাহী শহরের পদ্মা আবাসিক এলাকায়।
আমলা-সদরপুর প্রাইমারি স্কুল, আমলা-সদরপুর এইচ-ই স্কুল, মেহেরপুর কলেজ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সমাপ্তি। কর্মজীবনের শুরু ১৯৭০-এ কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে। সেখান থেকে বাংলা একাডেমিতে ১৯৭৩ সালে। অবসর গ্রহণ ২০০২ সালে বাংলা একাডেমির ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে। মাঝখানে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিন বছর ডেপুটেশনে কাজ করেছেন জার্মানির কোলন শহর ডয়েটশে ভেলে রেডিও-তে, বাংলা বিভাগের একজন সম্পাদক হিসেবে।
ভাষা ও হরফসহ ব্যতিক্রমী বিষয় নিয়ে কিছু বই রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে রয়েছে প্রতীচ্য পুরাণ, শব্দের চালচিত্র, নীল বিদ্রোহ (যৌথ অনুবাদ), ব্যারন মুনশাউজেনের রোমাঞ্চকর অভিযান, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনি, বাঙালির বিবিধ বিলাস ও গল্প শুধু গল্প নয় (শিশুতোষ গল্প)। বাংলা একাডেমি ছোটদের অভিধানসহ তিনটি বইয়ের সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মাঝেমধ্যে পত্রিকায় লেখালেখি চলে। ছোটদের জন্যই বেশি। লেখার বিষয় এখন শব্দ নিয়ে আবর্তিত।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনার কাজ করে আসছেন অনেকদিন। মাতৃভাষা নিয়ে ‘মোদের গরব মোদের আশা’ করেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর। বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে একটানা প্রায় দশ বছর ধরে করেছেন ‘আবহমান বাংলা’। আর এখন করছেন ‘মাতৃভাষা’ অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের এখন এগারো বছর চলছে।
একসময় বেতারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবনে ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত সংবাদ অনুবাদ ও পাঠ করেছেন। ১৯৮৬ পর্যন্ত ঢাকা বেতারের ‘উত্তরণ’ ও ‘সংবাদ বিচিত্রা’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
কম দেখান