ড. মুহম্মদ শেহাবুল হুদা ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম শহরের ধনিয়ালাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী উকিল বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কারি মৌলানা মুহম্মদ সোলায়মান ছিলেন চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং মাতা আসমা খাতুন সমাজহিতৈষী। ‘পোস্তারপাড় আসমা খাতুন সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ তাঁর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত।
১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে ১ম শ্রেণিতে এমএ পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আই এ ও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে বি এ পাস করেন এবং ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে কাজেম...
আরো পড়ুন
ড. মুহম্মদ শেহাবুল হুদা ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম শহরের ধনিয়ালাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী উকিল বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কারি মৌলানা মুহম্মদ সোলায়মান ছিলেন চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক এবং মাতা আসমা খাতুন সমাজহিতৈষী। ‘পোস্তারপাড় আসমা খাতুন সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ তাঁর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত।
১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে ১ম শ্রেণিতে এমএ পাস করেন। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আই এ ও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে বি এ পাস করেন এবং ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে কাজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। কাজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির আগে তিনি চট্টগ্রাম দারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে আলিম ও ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে ফাজিল পাস করেন।
এম এ পাস করার পরপরই ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজে আরবির শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আরবির প্রভাষক হিসেবে তিনি ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগে যোগ দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সাড়ে নয় বছরের শিক্ষকতা জীবনের এক অনন্য কীর্তি তাঁর পিএইচডি অভিসন্দর্ভ। ‘ঞযব ঝধরহঃং ধহফ ঝযৎরহবং ড়ভ ঈযরঃঃধমড়হম’ নামে অভিসন্দর্ভের জন্য তিনি ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। উপমহাদেশখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবদুল করিম ছিলেন তাঁর গবেষণা নির্দেশক। সে সময় তিনি দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। পিএইচডি ডিগ্রি লাভের মাত্র চার মাসের মধ্যে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি পরলোকগমন করেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি অনেক সুফির সান্নিধ্য লাভ করেন এবং গবেষণার বিষয় হিসেবে চট্টগ্রামের সুফি সাধকদের কর্মকাণ্ডকে বেছে নেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা চট্টগ্রামে সুফিবাদ চর্চার হাজার বছরের ইতিহাস অনুসন্ধানে অনন্য দলিল হয়ে আছে।
কম দেখান