মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন
জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৫৪, কাজলা, রাজশাহী।
শিক্ষা: কাজলা কলেজিয়েট স্কুল ও সরকারী উচ্চ সালামিক কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। মুনীর চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচ ডি ডিগ্রি প্রদান করেন।
সংসার: স্ত্রী আনিস হাসিনা ক্যাডেট কলেজে অধ্যাপনা করেন। পুত্র- নাজমুস সাকিব কথন, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক; নাজমুস সাঈদ শরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ফিন্যান্স বিভাগে অধ্যয়নরত।
পেশা: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপনা। রংপুর ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা ক্যাডেট...
আরো পড়ুন
মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন
জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৫৪, কাজলা, রাজশাহী।
শিক্ষা: কাজলা কলেজিয়েট স্কুল ও সরকারী উচ্চ সালামিক কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ। মুনীর চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচ ডি ডিগ্রি প্রদান করেন।
সংসার: স্ত্রী আনিস হাসিনা ক্যাডেট কলেজে অধ্যাপনা করেন। পুত্র- নাজমুস সাকিব কথন, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক; নাজমুস সাঈদ শরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ফিন্যান্স বিভাগে অধ্যয়নরত।
পেশা: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপনা। রংপুর ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ ও ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উপাধ্যক্ষ।
গ্রন্থ: গবেষণা- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র নাটক, মুক্তধারা; মুনীর চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম, বাংলা একাডেমী; নুরুল মোমেন: জীবন ও সাহিত্য, অন্বেষা প্রকাশন; সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র নাটক: জীবনদৃষ্টি ও শিল্পসৃষ্টি, অন্বেষা প্রকাশন। জীবনী- নুরুল মোমেন, বাংলা একাডেমী; শাহনূর খান, বাংলা একাডেমী; মোনাজাতউদ্দিন, বাংলা একাডেমী। প্রবন্ধ- সাহিত্যের বিত্তবৈভব, ইমন প্রকাশনী।
বাংলা ভাষাসাহিত্য, বাংলাদেশ ও বাঙালির সমৃদ্ধিসাধন এবং জাগরণ-ইতিহাসে শহীদ সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর কীর্তি সুবিদিত। তাঁর সৃজনশীল ও মননধর্মী সাহিত্যনির্মাণ এবং জীবনঘনিষ্ঠ শিল্পমানস গঠনে সক্রিয় ছিলো পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, আর্থসামাজিক, রাষ্ট্রিক ও বৈশ্বিক স্তরবহুল ঘটনাপ্রবাহ। সমকাল, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাণ ও মিথ-আশ্রয়ী জীবনভাবনা তাঁকে করেছে অসাম্প্রদায়িক, উদার-মানবিক ও বস্তুবাদী শিল্পস্রষ্টা। তাঁর তীক্ষ্ম মননের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো সূক্ষ্ম রসবোধ, যা সাহিত্যকর্মকে করেছে প্রাণবন্ত এবং ভিন্নমাত্রিক। তিনি এদেশের আধুনিক নাট্যকার, সফল অনুবাদক, বিজ্ঞ গবেষক-প্রাবন্ধিক এবং নিপুণ গল্পকার।
সাতচল্লিশ-উত্তর এবং একাত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের ক্ষীণ সাহিত্যশাখায় মুনীর চৌধুরী সঞ্চার করেন সজীব প্রাণপ্রবাহ।
নগরকেন্দ্রিক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ-জীবনের নাট্যরূপ, পূর্ণাঙ্গ নাটকের চেয়ে একাঙ্ক নাটক এবং ট্র্যাজেডির চেয়ে কমেডি রচনার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিলো তাৎপর্যপূর্ণ। এদেশে এ্যাবসার্ড নাট্যকলারীতি প্রয়োগ-উপযোগী পরিবেশহীনতা বিবেচনা করেও তিনি ছিলেন নিরীক্ষাপ্রিয় এবং মিথনির্ভর জীবনভাবনায় আধুনিকমনস্ক।
যে সব বিদেশী নাটকের সঙ্গে বাঙালি জীবনাচরণের সাযুজ্য রক্ষা সম্ভব, যেখানে দ্বন্দ্বমুখর নাটকীয়তা, নির্মল রঙ্গপরিহাস এবং প্রগতিশীল জীবনদৃষ্টির নান্দনিক প্রকাশ আছে, মুনীর চৌধুরী কেবল সে-সব নাটকই বাংলায় অনুবাদ করেন।
অনুবাদে তিনি মূলের অনুগত থেকেও মৌলিক এবং রূপান্তরে মূলের ভাবকে অক্ষুণ্ণ রেখেও দেশজকরণে সিদ্ধহস্ত।
সাহিত্য-সমালোচনায় যৌক্তিক তথ্যানুসন্ধান ও মননধর্মী বিশ্লেষণ, ভাষাতত্ত্বের জটিল গ্রন্থি-উন্মোচন ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান এবং সাধারণ প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনায় তাঁর পারদর্শিতা অননুকরণীয়। এদেশের তুলনামূলক সাহিত্য বিচাররীতি তাঁর হাতেই প্রকৃত প্রতিষ্ঠা পায়।
সমাজজীবনে গ্রথিত, অশিক্ষা, কুসংস্কার, অন্ধ-বিশ্বাস, সাম্প্রদায়িকতা, লোভ-লালসা, যৌনচার ও অভাব-অনটনকে উপকরণ করে এবং প্রধানত আঞ্চলিক ভাষা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে গঠিত তাঁর গল্পের ভুবন।
গভীর জীবনবোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা, সাহিত্য-শিল্পের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা ও সৃষ্টিক্ষমপ্রজ্ঞার নান্দনিক প্রকাশই মুনীর চৌধুরীর সাহিত্য। কালোত্তীর্ণ এ-সাহিত্যের তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়নভিত্তিক আকরগ্রন্থ মুনীর চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম।
কম দেখান