বদরুদ্দীন উমর-এর জন্ম ১৯৩১, ২০ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে। তিনি একালের একজন অনন্যসাধারণ রাজনীতিবিদ ও চিন্তক। মার্কসীয় তত্ত্বের অনুসারী ও ভাষ্যকার হিসেবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশে সুপরিচিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপনার সময় (১৯৫৭-৬৮) তিনি অক্সফোর্ডে গিয়ে দর্শন-রাজনীতি-অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি (১৯৬১) অর্জন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান (১৯৬৩) ও সমাজবিজ্ঞান (১৯৬৪) বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা।
ষাটের দশকে তাঁর তিনটি গ্রন্থ- সাম্প্রদায়িকতা, সংস্কৃতির সংকট ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশিত হলে তিনি পাকিস্তান সরকারের বিদ্বেষদৃষ্টিতে পড়েন। সরকারের সঙ্গে বিরোধ তীব্র হওয়ায় তিনি অধ্যাপনা থেকে ইস্তফা...
আরো পড়ুন
বদরুদ্দীন উমর-এর জন্ম ১৯৩১, ২০ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে। তিনি একালের একজন অনন্যসাধারণ রাজনীতিবিদ ও চিন্তক। মার্কসীয় তত্ত্বের অনুসারী ও ভাষ্যকার হিসেবে তিনি পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশে সুপরিচিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপনার সময় (১৯৫৭-৬৮) তিনি অক্সফোর্ডে গিয়ে দর্শন-রাজনীতি-অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি (১৯৬১) অর্জন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান (১৯৬৩) ও সমাজবিজ্ঞান (১৯৬৪) বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা।
ষাটের দশকে তাঁর তিনটি গ্রন্থ- সাম্প্রদায়িকতা, সংস্কৃতির সংকট ও সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশিত হলে তিনি পাকিস্তান সরকারের বিদ্বেষদৃষ্টিতে পড়েন। সরকারের সঙ্গে বিরোধ তীব্র হওয়ায় তিনি অধ্যাপনা থেকে ইস্তফা (১৯৬৮) দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) যোগ দেন এবং পার্টির মুখপত্র গণশক্তি সম্পাদনা (ফেব্রুয়ারি ১৯৭০-মার্চ ১৯৭১) করে। কিন্তু পার্টি ক্রমাগত ভুলের দিকে এগিয়ে গেলে তিনি পার্টির লাইনের বিরোধিতা করে স্বাধীনতা যুদ্ধের (১৯৭১) সময় পার্টিতে পরপর দুটি দলিল দেন। পার্টির নিদারুণ ভ্রান্ত লাইনের জন্য তিনি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন। তখন থেকে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পুনর্গঠন ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত আছেন।
কম দেখান