শহীদ আনােয়ার পাশার জন্ম ১৯৩২ সালে। গ্রাম: ডাবকাই, মুর্শিদাবাদ জেলায়। তার পিতা হাজী মকরম আলী ও মাতা সাবেরা খাতুন। ১৯৫৩ সালে কলকাতা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে বাংলা সাহিত্যে এম.এ. পাশ করেন। ঐ বছরেই তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম মসিনা খাতুন। ১৯৫৮ সালে পাবনা জেলার এডওয়ার্ড কলেজে বাংলার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যােগদান করেন এবং শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঐ বিভাগেই অধ্যাপনা করে গেছেন। আনােয়ার পাশা ছিলেন কবি সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ। তার...
আরো পড়ুন
শহীদ আনােয়ার পাশার জন্ম ১৯৩২ সালে। গ্রাম: ডাবকাই, মুর্শিদাবাদ জেলায়। তার পিতা হাজী মকরম আলী ও মাতা সাবেরা খাতুন। ১৯৫৩ সালে কলকাতা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে বাংলা সাহিত্যে এম.এ. পাশ করেন। ঐ বছরেই তিনি বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম মসিনা খাতুন। ১৯৫৮ সালে পাবনা জেলার এডওয়ার্ড কলেজে বাংলার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যােগদান করেন এবং শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত ঐ বিভাগেই অধ্যাপনা করে গেছেন। আনােয়ার পাশা ছিলেন কবি সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ। তার সাহিত্যকর্মে ফুটে ওঠে দেশাত্মবােধ. মননশীলতা, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাচেতনা।। তার উল্লেখযােগ্য সাহিত্যকর্ম নীড় সন্ধানী, নিশুতি রাতের গাথা, রাইফেল রােটি আওরাত, নদী নিঃশেষিত হলে, সমুদ্র শৃঙ্খলতা উজ্জয়িনী ও অন্যান্য কবিতা, সাহিত্য শিল্পী আবুল ফজল, রবীন্দ্র ছােটগল্প সমীক্ষা, নিরুপায় হরিনী। তার সাহিত্যকর্মের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭২ মরনােত্তর) সম্মাননা পান।। ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টার্স থেকে পাক-হানাদার বাহিনীর এদেশীয় সহযােগী আলবদরের সদস্যরা ধরে নিয়ে গিয়ে মিরপুর বধ্যভূমিতে হত্যা করে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর। তিনি স্ত্রী এবং দুই ছেলে রেখে গেছেন ।। ছেলেদের নাম মাসারুল আফতাব ও রবিউল আফতাব ।
কম দেখান