৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশ আমার বাংলাদেশ। এই দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে আমার জেলার নাম টাঙ্গাইল। উপজেলার নাম হলো গিয়ে ঘাটাইল। গ্রামের নাম জন্ম থেকেই জেনেছি গালা। এখনো সেই নামটাই চালু আছে। উচ্চ বিদ্যালয়ে দেয়া সাল অনুযায়ী আমার জন্মসাল ১৯৫৬। হিসাব সহজে মিলানোর জন্য জন্মতারিখ ১লা জানুয়ারি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বেঁচে আছি। প্রকাশিত গ্রন্থ ধরেন ১২৫ হয়ে গেছে। আর কত? অনেকে বলেন থামলে ভালো হতো। কী করব? না লিখলে চুলকায়, কষা শরীরে বসাও যায় না। এই...
আরো পড়ুন
৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশ আমার বাংলাদেশ। এই দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে আমার জেলার নাম টাঙ্গাইল। উপজেলার নাম হলো গিয়ে ঘাটাইল। গ্রামের নাম জন্ম থেকেই জেনেছি গালা। এখনো সেই নামটাই চালু আছে। উচ্চ বিদ্যালয়ে দেয়া সাল অনুযায়ী আমার জন্মসাল ১৯৫৬। হিসাব সহজে মিলানোর জন্য জন্মতারিখ ১লা জানুয়ারি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বেঁচে আছি। প্রকাশিত গ্রন্থ ধরেন ১২৫ হয়ে গেছে। আর কত? অনেকে বলেন থামলে ভালো হতো। কী করব? না লিখলে চুলকায়, কষা শরীরে বসাও যায় না। এই কারণে পাঠকদের অত্যাচার করি। বাংলাদেশের পাঠক-পাঠিকা অনেক লেখকদের অত্যাচারই সহ্য করে থাকেন। অন্তত এই বিষয়ে তারা সর্বংসহা। না পড়লে সহ্য করার বিষয়টা তো বিবেচনাতেই আসে না। তবু লিখি। কারণ বদঅভ্যাস। বদঅভ্যাস বাদ দিলেই মনে হয় বরবাদ হয়ে যাব। আমার অনেকগুলো ঐ অভ্যাস আছে। যেমন-ছড়া, কবিতা লেখা, গল্প, নিবন্ধ ও রম্য লেখার স্পর্ধাও দেখিয়ে থাকি। যা পারি না তাই আছে বাকি।
বই অনেক থাকলেও বউ মাত্র একটা। অন্যদিকে আমিও তার একমাত্র স্বামী। অতএব কাটাকাটি। কারো আফসোস নেই। সন্তান মাত্র তিনজন। একজন ‘মা জননী’ অন্যটা ‘খালা’। বাপের লাহান একটা মাত্র পুত্র। প্রিয় পাঠক-পাঠিকা আমি কিন্তু নানাও হয়েছি। শুধু কি তাই আমার গিন্নিও নানি হয়েছে। হ্যা-হ্যা-হ্যা।
আমি সিতিলের নানা আর গিন্নি নানি। আর কেন টানি? টানাটানি, জানাজানি, কানাকানি নানানানির নানা কাহিনি। পাঠক-পাঠিকা বলেন, আমরা সব নতি চাহিনি।
শেষ কথা-তবে আমি “শব্দ ছাড়া হয় না কিছু শব্দ হলো গুণ
শব্দ জাগায় ভালোবাসা শব্দে করে খুন।”
কম দেখান