গম্ভীরমুখো রাজপুত্রকে তেড়ে আসতে দেখে চৈত্রিকা অশ্রুসিক্ত টলমল চক্ষু মেলে এক পল চাইল। বুকে ধুপধাপ কম্পন অনুভব করল। পা দুটো গুটিয়ে পুরাতন দেয়ালের সাথে আরেকটু সেঁটে বসল৷
বলিষ্ঠদেহী সাফারাত অর্থ্যাৎ তার কথিত রাজপুত্রের ধূসর রঙের জ্বলজ্বল করা মণিজোড়ায় বেশিক্ষণ চেয়ে থাকতে অপারগ হলো সে। নজর সরিয়ে আনল তৎক্ষণাৎ। তাকায়...
আরো পড়ুন
গম্ভীরমুখো রাজপুত্রকে তেড়ে আসতে দেখে চৈত্রিকা অশ্রুসিক্ত টলমল চক্ষু মেলে এক পল চাইল। বুকে ধুপধাপ কম্পন অনুভব করল। পা দুটো গুটিয়ে পুরাতন দেয়ালের সাথে আরেকটু সেঁটে বসল৷
বলিষ্ঠদেহী সাফারাত অর্থ্যাৎ তার কথিত রাজপুত্রের ধূসর রঙের জ্বলজ্বল করা মণিজোড়ায় বেশিক্ষণ চেয়ে থাকতে অপারগ হলো সে। নজর সরিয়ে আনল তৎক্ষণাৎ। তাকায় অন্যত্র। পায়ে স্পর্শ অনুভব হতেই আঁতকে ওঠে, সর্বাঙ্গে বয়ে যায় শিহরণ। কানে ঝংকার তুলে প্রবেশ করে তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বর, “আপনি কি নিজেকে রাজকুমারী ভাবেন না?”
চৈত্রিকা তড়াক করে নিজের রক্তাক্ত পায়ের দিকে তাকাল। চেয়ে রইল পলকহীন, নির্নিমেষ। চোখে ভাসছে সফেদ একটা রুমাল দিয়ে রক্ত মুছে দেওয়ার দৃশ্য। আচ্ছা রুমালটার দাম কত হবে? ও শোধ করতে পারবে? নিশ্চয়ই অনেক বেশি। ভেতরের ভাবনা, উত্তাল ঢেউ থামিয়ে নিষ্প্রাণ ও মলিন স্বরে নিজের জীবনের সত্যটা সাফ সাফ জানায়, “আমি কলঙ্কিত পুষ্প, রাজকুমারী নই!”
কম দেখান