এ গ্রন্থের লেখাগুলো দেশে বিদেশে বসে রচনা। বিদেশে ছিলাম, দেলের জন্য ব্যাকুল হয়ে কেঁদেছি। দেশের জন্য কাঁদার আলাদা সুর। আমার দেশকে কেউ একটা আঁচর দিচ্ছে তাই শুনে ভেতরটা ফেটে যেতো। তের সালের পুরোটাই তো বাংলারেদপকে খুবলে খুবলে ক্ষতবিক্ষত করেছে বাংলা বিরোধিরা। তাদের সরব আর গোপন ছোবলের আলামত দেখে শুনে বাঙলায়...
আরো পড়ুন
এ গ্রন্থের লেখাগুলো দেশে বিদেশে বসে রচনা। বিদেশে ছিলাম, দেলের জন্য ব্যাকুল হয়ে কেঁদেছি। দেশের জন্য কাঁদার আলাদা সুর। আমার দেশকে কেউ একটা আঁচর দিচ্ছে তাই শুনে ভেতরটা ফেটে যেতো। তের সালের পুরোটাই তো বাংলারেদপকে খুবলে খুবলে ক্ষতবিক্ষত করেছে বাংলা বিরোধিরা। তাদের সরব আর গোপন ছোবলের আলামত দেখে শুনে বাঙলায় অর্থীর হয়েছি। কিছুদিনের জন্য দেশে এসে জঙ্গীদের শত সহস্র হিংসাতুর কীর্তিকলাপ দেখে হতবিহ্বল হলাম।
বাংলাদেশকে ছিড়ে ছিঁড়ে খাবে তেমনি মহা আয়োজন নিয়ে মাঠে
এমন মন্ত্রণাবিদ্ধ আর দংশনের ক্ষত নিয়ে আমার সময় আগে কথনো কাটেনি। তাই এ লেখাগুলোতে রুধিরাক্ত বেদনার কথা বার বার এসেছে। একই কথা বার বার আর একই প্রসঙ্গ ঘন ঘন উচ্চারণ করেছি। এছাড়া আমার ভিন্ন কোনো উপায় ছিলনা। বাঙলার দাহ বেশি বলেই বার বার যন্ত্রণাকে নিয়ে উচ্চকণ্ঠ, যদি আাতে উপশম হয় কষ্ট।।
এক বিশেষ সময়ের ক্ষতবিক্ষত যন্ত্রণার পঞ্জী রচিত হলো, তাতেই আমার স্বস্তি। সেই সংগে ব্যক্তিগত কিছু ভাবনা বেদনা ও বিয়োগব্যদার কথাও এসেছে।
বাংলার বিশেষ সময়ের বাসা বেদনা আর ক্রোধ নিয়ে বইটি সাজিয়ে দিলাম। সাম্প্রতিক কালের বাংলাকে ধরে রাখলাম, ভালোবাসা ও যন্ত্রণা দিয়ে প্রকাশক প্রিয় তোফাজ্জল হোসেনকে বার বার কৃতজ্ঞতা।
'বাংলা আমার মা'- কথাটি বলতে পারছি আমার বড় সুখ। সাগো জন্ম আমার ধন্য হলো তোমার কোলে এসে।'
দূরের কাছের সবাইকে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা-
১লা বৈশাখ ১৪২১
মমতাজউদদীন আহমদ
কম দেখান