ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী সব্যসাচী ও তার সাথীদের সংগ্রামের কাহিনিই পথের দাবীর উপজীব্য। নিজের একমাত্র এই উপন্যাসেই চরিত্র সৃজনে সিদ্ধহস্ত শরৎচন্দ্র তাঁর স্বভাববিরোধী লেখা লিখেছিলেন। বিপ্লববাদের রূপায়ণে যেখানে ঘটনা-রোমাঞ্চই মুখ্য, চরিত্র সৃষ্টি সেখানে গৌণ হতে বাধ্য। নানা বিপ্লবী কর্মকাণ্ড, আদর্শের রাজনীতি, রণনীতি নিয়ে বিরোধের মতো জটিল সমীকরণই পথের...
আরো পড়ুন
ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী সব্যসাচী ও তার সাথীদের সংগ্রামের কাহিনিই পথের দাবীর উপজীব্য। নিজের একমাত্র এই উপন্যাসেই চরিত্র সৃজনে সিদ্ধহস্ত শরৎচন্দ্র তাঁর স্বভাববিরোধী লেখা লিখেছিলেন। বিপ্লববাদের রূপায়ণে যেখানে ঘটনা-রোমাঞ্চই মুখ্য, চরিত্র সৃষ্টি সেখানে গৌণ হতে বাধ্য। নানা বিপ্লবী কর্মকাণ্ড, আদর্শের রাজনীতি, রণনীতি নিয়ে বিরোধের মতো জটিল সমীকরণই পথের দাবীকে জঙ্গমত্ব দিয়েছে।
রাজদ্রোহের সঙ্গে সঙ্গে ওঠে অশ্লীলতার অভিযোগও! কিন্তু উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রকাশিত উপন্যাসটি নিষিদ্ধ হলে সারাদেশে তীব্র প্রতিবাদ হয়। তখন বাংলার অপরাজেয় কথাশিল্পী লিখেছিলেন, ‘ইংরাজশক্তির এই বই বাজেয়াপ্ত করবার জাস্টিফিকেশন যদি থাকে, পরাধীন ভারতবাসীর প্রোটেস্ট করবার জাস্টিফিকেশনও তেমনি আছে।’
কম দেখান