রোশান সারাহর হাত ধরে হাঁটছে। হাঁটতে হাঁটতে প্রশ্ন করল, “ইদানীং আমার হৃদয় খুব বাজেভাবে অসুস্থ হয়।”
“শুনেছি মানুষের শরীর অসুস্থ হয় আর আপনার হৃদয় অসুস্থ হয়।”
“শরীরের সাথে মনের দারুণ কানেকশন আছে, ম্যাডাম। যখন মন সুস্থ থাকবে তখন শরীরও সুস্থ থাকবে।”
“ডাক্তার দেখান।”
“এই পৃথিবীতে সব থেকে বড়ো ডাক্তার হলো প্রিয়মানুষ। যে একটু কথা...
আরো পড়ুন
রোশান সারাহর হাত ধরে হাঁটছে। হাঁটতে হাঁটতে প্রশ্ন করল, “ইদানীং আমার হৃদয় খুব বাজেভাবে অসুস্থ হয়।”
“শুনেছি মানুষের শরীর অসুস্থ হয় আর আপনার হৃদয় অসুস্থ হয়।”
“শরীরের সাথে মনের দারুণ কানেকশন আছে, ম্যাডাম। যখন মন সুস্থ থাকবে তখন শরীরও সুস্থ থাকবে।”
“ডাক্তার দেখান।”
“এই পৃথিবীতে সব থেকে বড়ো ডাক্তার হলো প্রিয়মানুষ। যে একটু কথা বললেই মন সুস্থ হয়ে যায়।”
“আমি কি তাহলে আপনার প্রিয় মানুষ?”
“কোনো সন্দেহ আছে?”
“আছে!”
“কী আছে বলুন, ম্যাডাম?”
সারাহ লজ্জা পেয়ে বলল, “না, বলব না।
“এইভাবে কেউ লজ্জা পায় ম্যাডাম, পাগল হয়ে যাব তো! ওই লাজরাঙা চোখে তাকালেই তো চূড়ান্ত সর্বনাশ হয়ে যাবে আমার।”
“কীসের সর্বনাশ?”
“সেই সর্বনাশের কথায় আমি তোমাকে বলতে চাই, মিস কিলার।”
সারাহ মাথা নিচু করে বলল, “যা বলার বলুন।”
“উঁহুঁ, এইভাবে নয়।”
“তাহলে?”
“কোনো এক নির্জন প্রহরে দেখা হবে আমাদের, যে প্রহরে আকাশ, সমুদ্র, চন্দ্র, নিশীরাত সাক্ষী হবে মধুর একটি মুহূর্তের। যেখানে জলাশয়ে পদ্ম ফুটবে, চারিদিক জোনাক জ্বলবে। তুমি খিলখিল করে হাসবে। সেই মুহূর্তে তোমকে বলব পুরুষের ভালোবাসা ছাড়া একটা নারীর সৌন্দর্য অপূর্ণ।”
“কবে আসবে সেই প্রহর?”
“আসবে খুব শীঘ্রই আমাদের নির্জন প্রহর।”
কম দেখান