'পাকিস্তানের সংবিধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' প্রসঙ্গে লিখতে হলে প্রথমেই ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের ইতিহাস, সমকালীন রাজনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে প্রতীয়মান হবে যে, অখণ্ড পাকিস্তানের অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান ও ভূমিকা অনস্বীকার্য।
অখণ্ড পাকিস্তানে দুইবার সংবিধান প্রণীত হয়, প্রথমবার ১৯৫৬ সালে নির্বাচিত গণপরিষদ সংবিধান প্রণয়ন করে,...
আরো পড়ুন
'পাকিস্তানের সংবিধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব' প্রসঙ্গে লিখতে হলে প্রথমেই ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের ইতিহাস, সমকালীন রাজনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে প্রতীয়মান হবে যে, অখণ্ড পাকিস্তানের অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান ও ভূমিকা অনস্বীকার্য।
অখণ্ড পাকিস্তানে দুইবার সংবিধান প্রণীত হয়, প্রথমবার ১৯৫৬ সালে নির্বাচিত গণপরিষদ সংবিধান প্রণয়ন করে, দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের তত্ত্বাবধানে ১৯৬২ সালে প্রণীত হয়। সামরিক শাসন আমলে ১৯৬২ সালের সংবিধান প্রণয়ন করা হয় হেতু বঙ্গবন্ধু এটিকে কখনো গ্রহণ করতে পারেন নাই। তাই পরবর্তীতে তিনি সুবিখ্যাত ৬ দফার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন।
পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান ১৯৪৭-১৯৫৬ সময়কালে প্রণীত হয়। সে সময়কালে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক অবস্থান পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাব যে, তিনি তখন একজন ছাত্র নেতা, মুসলিম লীগের একজন সক্রিয় তরুণ কর্মী, তৎপর আওয়ামী মুসলীম লীগের একজন তরুণ নেতা থেকে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়ে একজন দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠকে পরিণত হন। তবে তখনো তিনি 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠেননি। বাঙালি জনগণের প্রচণ্ড বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে পাকিস্তান সরকার ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে এক বিশাল জনতা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে শোভাযাত্রা সহকারে তদানীন্তন রমনা রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আসে। কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে DUCSU'র তদানীন্তন সহসভাপতি জনাব তোফায়েল আহমেদ তাঁকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করেন।
প্রাক ১৯৪৭ ও তৎপর তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন নামে অভিহিত ছিলেন। দেশ বিভাগের পূর্বে ও অব্যবহিত পরবর্তী সময়ে তরুণ ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি অগ্রজ রাজনীতিবিদদের নিকট ছিলেন 'মুজিব' ও ছাত্রদের নিকট পরিচিত ছিলেন প্রিয় 'মুজিব ভাই' হিসেবে। তরুণ বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন রাজনৈতিক
কম দেখান