যখন ছোট ছিলাম, বয়স ষোল কি সতের, তখন থেকেই আমি হাতের কাছে পাওয়া সব সুযোগ কমবেশি কাজে লাগাবার আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। সে সময় কেবল যে সময়টা পার করছি তার কথাই মাথায় রাখতাম। নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার জন্য তখন আমি আকুল ছিলাম। পরিপূর্ণতা পাবার জন্য ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড এক যাতনায় ভুগছিলাম। সুরা...
আরো পড়ুন
যখন ছোট ছিলাম, বয়স ষোল কি সতের, তখন থেকেই আমি হাতের কাছে পাওয়া সব সুযোগ কমবেশি কাজে লাগাবার আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। সে সময় কেবল যে সময়টা পার করছি তার কথাই মাথায় রাখতাম। নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার জন্য তখন আমি আকুল ছিলাম। পরিপূর্ণতা পাবার জন্য ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড এক যাতনায় ভুগছিলাম। সুরা পান ও গানটান শুনে সারাটা রাত বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবার পর একদিন সুন্দর এক গ্রীষ্মের রাতে বাড়ি ফিরেছি। ভোর হয় হয় অবস্থা।
এমন সময় ঘরের দরজার কাছে এসে মনে পড়ে, নব্বই বছর বয়স্কা দাদি ছাড়া বাড়িতে এখন কেউই নেই। এই অবস্থায় ভেতরে ঢোকার চাবিও আমার কাছে ছিল না। আপন মনে ভাবতে ভাবতে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করি-'এখন কি দাদিকে আমার বিরক্ত করা ঠিক হবে? হঠাৎ করে পড়িমরি করে উঠতে গিয়ে যদি সে বড় ধরনের কোনো আঘাত পায়? দেয়ালে ধাক্কা খেয়েও পড়ে যেতে পারেন। বরং তাকে খানিকটা বিশ্রাম দিয়ে, মা আর ভাইয়ের কাছেই বা যাচ্ছি না কেন।
কম দেখান