দ্বিপ্রহর অতিক্রান্ত। কে যেন বাইরে থেকে নাম ধরে তাকে ডাকছে। উৎকর্ণ হলেন প্রণব ভট্ট। সে কী! অসময়ে গুরুদেবের উত্তেজিত উচ্চকণ্ঠ! উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। মধ্যাহ্নের আহারপর্ব এই মাত্র সমাধা করেছেন তিনি। গুরুদেবের ডাকাডাকি শুনে দ্রুতই দ্বার খুলে বাইরে এলেন। ততক্ষণে পন্ডিত নারায়ণ শর্মা প্রাঙ্গণ অতিক্রম করে দাওয়ায় উঠে এসেছেন। প্রণব ভট্ট...
আরো পড়ুন
দ্বিপ্রহর অতিক্রান্ত। কে যেন বাইরে থেকে নাম ধরে তাকে ডাকছে। উৎকর্ণ হলেন প্রণব ভট্ট। সে কী! অসময়ে গুরুদেবের উত্তেজিত উচ্চকণ্ঠ! উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। মধ্যাহ্নের আহারপর্ব এই মাত্র সমাধা করেছেন তিনি। গুরুদেবের ডাকাডাকি শুনে দ্রুতই দ্বার খুলে বাইরে এলেন। ততক্ষণে পন্ডিত নারায়ণ শর্মা প্রাঙ্গণ অতিক্রম করে দাওয়ায় উঠে এসেছেন। প্রণব ভট্ট মুখ খোলার পূর্বেই তিনি বললেন- নগর অধিকরণের সভাগৃহ থেকে সোজা এখানে চলে এসেছি।
প্রণব ভট্ট গুরুদেবকে নমস্কার করে প্রক্ষালনের জল ও আসনের ব্যবস্থার জন্য উচ্চকণ্ঠে স্ত্রীকে ডাকলেন। না, না, তুমি মোটেও ব্যস্ত হয়ো না। আমি এখানে বসব না। গৃহে ফিরে একেবারেই বিশ্রাম নেব। সন্ধ্যার দিকে তোমাদের নিয়ে আলোচনায় বসতে চাই। দিকে তে আমি যাই, তুমি বরং শম্ভুনাথ ও বিশ্বম্ভরকে নিয়ে আমার ওখানেই চলে এসো। এরই মধ্যে প্রণব ভট্টের স্ত্রী সরস্বতী এক হাতে জলের ঘটি আর অন্য হাতে বসার পিঁড়ি নিয়ে উপস্থিত হলেন। বললেন- মেসোমশায়ের যেমন কথা, এই ভাদ্রের দুপুরে এক ক্রোশ পথ হেঁটে এসেছেন। যাই বললেই কি যেতে পারছেন? হাত-মুখ ধুয়ে নিন, আমি আপনার আহারের ব্যবস্থা করছি।
কম দেখান