আব্রাহাম লিঙ্কন গণতান্ত্রিক সরকারের একটি সংজ্ঞায় নি। তাঁর সংজ্ঞায় সাম্যের কথা ছিল। লিঙ্কন তাত্ত্বিক ছিলেন না। ছিলেন তিনি কাজের মানুষ। কিন্তু তত্ত্ব চলে এসেছিল অভিজ্ঞতা থেকে। গণতন্ত্রকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠার কর্মে তাঁর বিরতি ছিল না। এই লক্ষ্যে তিনি যুদ্ধ করেছেন। সরাসরি।
কিন্তু একটি বিষণ্ণতা ছিল তাঁর চেহারায়। গণতন্ত্রের কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান যেটি...
আরো পড়ুন
আব্রাহাম লিঙ্কন গণতান্ত্রিক সরকারের একটি সংজ্ঞায় নি। তাঁর সংজ্ঞায় সাম্যের কথা ছিল। লিঙ্কন তাত্ত্বিক ছিলেন না। ছিলেন তিনি কাজের মানুষ। কিন্তু তত্ত্ব চলে এসেছিল অভিজ্ঞতা থেকে। গণতন্ত্রকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠার কর্মে তাঁর বিরতি ছিল না। এই লক্ষ্যে তিনি যুদ্ধ করেছেন। সরাসরি।
কিন্তু একটি বিষণ্ণতা ছিল তাঁর চেহারায়। গণতন্ত্রের কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান যেটি লক্ষ্য করেছিলেন। কেন এই বিষণ্ণতা? তিনি কি দেখতে পাচ্ছিলেন তার গণতান্ত্রিক চিন্তার বাস্তবায়ন আসলে সম্ভব নয়- না তাঁর নিজের দলে, না তাঁর দলের আধিপত্তো অন্যদলে।
আমরা তা জানি না। তবে এটা সত্য যে গণতন্ত্র আসেনি। আমেরিকা প্রথমে পুঁজিবাদী ও পরে সাম্রাজ্যবাদী রূপ গ্রহণ করেছে।
অনেক দেশের মতো আমরাও কবলিত। কিন্তু চেষ্টা আছে মুক্তির। দুটোই সত্য। এই দ্বৈত সত্য নিয়েই এ বইয়ের প্রবন্ধগুলো রচিত। মুক্তির রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আন্দোলনেরও যে প্রয়োজন হবে সেটাও এ বইয়ের বক্তব্য।
কম দেখান