লেখকের কথা
কোনো এক নির্জন দুপুরে খুব সাধারণ একটা প্লট চিন্তা করে লিখতে বসেছিলাম 'কোহিনূর'। অনেকে বলে, আমার লেখনীতে ভূতের বাচ্চারা নিত্য করে। কথাটা সত্যি হলো। ভেবেছিলাম, সামাজিক রোমান্টিক কোনো গল্প লিখবো। নিজের অজান্তে, জানি না কিভাবে সেটা ভৌতিক মিস্টি থ্রিলারে রূপ নিলো। প্রথম খণ্ড ফেসবুকে প্রকাশ করার পর পাঠকদের...
আরো পড়ুন
লেখকের কথা
কোনো এক নির্জন দুপুরে খুব সাধারণ একটা প্লট চিন্তা করে লিখতে বসেছিলাম 'কোহিনূর'। অনেকে বলে, আমার লেখনীতে ভূতের বাচ্চারা নিত্য করে। কথাটা সত্যি হলো। ভেবেছিলাম, সামাজিক রোমান্টিক কোনো গল্প লিখবো। নিজের অজান্তে, জানি না কিভাবে সেটা ভৌতিক মিস্টি থ্রিলারে রূপ নিলো। প্রথম খণ্ড ফেসবুকে প্রকাশ করার পর পাঠকদের উন্মাদনা আর আগ্রহ আমাকে সামনে এগোতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কোহিনূরের এই যাত্রাপথে অনেক মানুষের অনুপ্ররেণা পেয়েছি তার মধ্যে আমার প্রিয় বোন আর ছোট ভাই "নাজমুল হুদা আসিফ" অন্যতম। দুজনকেই আমার অন্তস্তল থেকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
'কোহিনূর' তৃতীয় খণ্ড পাঠকদের সামনে আনতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। এই খণ্ডের মাধ্যমে আমার দীর্ঘদিনের যাত্রা শেষ হলো। তবে পাঠকেরা পাশে ছিলেন বলেই
'কোহিনূর' তৃতীয় খণ্ড আজ পূর্ণতা পেয়েছে।
এই খণ্ডে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে, খুলে যাবে সেইসব রহস্যের পর্দা, যেগুলো আগের দুই খণ্ডে ইচ্ছাকৃতভাবে ঢেকে রাখা হয়েছিল। কেউ ফিরে আসবে, কেউ হারিয়ে যাবে- কিন্তু ভালোবাসা, বিশ্বাসের কোনো পরিবর্তন হবে না। অধরা ও জুবায়েরের ভালোবাসার সংসার থেকে চিরতরে বিদায় নেবে কালো শক্তি, আর কোহিনূর হারাবে তার ক্ষমতা, রেখে যাবে এক নির্মল পৃথিবী। আশা করি, সকলের ভালো লাগবে।
পরিশেষে প্রকাশক ভাইয়াকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না। 'কোহিনূর' ট্রিলজির পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ভাইয়ার প্রকাশনা এবং পথচলার জন্য রইল অশেষ শুভকামনা।
আবারও বলছি, ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। আমার লেখার হাত যথেষ্ট কাঁচা। অনেক ভুল থাকতে পারে। নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে আরও গুছিয়ে, নতুন কোনো বইয়ের পাতায় ফিরতে। আমার সকল পাঠকদের জন্য রইল অফুরন্ত ভালোবাসা।
লাবণ্য ইয়াসমিন
হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ।
২৪ মে ২০২৫
কম দেখান