একুশ আমার বাংলা আমার এ বইটি আমার ভালবাসার বই। আমার চেতনার ও সত্য প্রকাশের বই। এভাবেই দেখেছি আমার দেশকে, ভাষাকে আর সময়কে। যেসব লেখা এতে আছে, তাতে যাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ ও ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে, তারা আমার সময়কে, আমার সহজ চলার পথকে বারংবার কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দিতে চায়। তারা...
আরো পড়ুন
একুশ আমার বাংলা আমার এ বইটি আমার ভালবাসার বই। আমার চেতনার ও সত্য প্রকাশের বই। এভাবেই দেখেছি আমার দেশকে, ভাষাকে আর সময়কে। যেসব লেখা এতে আছে, তাতে যাদের বিরুদ্ধে আমার ক্রোধ ও ঘৃণা ছড়িয়ে পড়েছে, তারা আমার সময়কে, আমার সহজ চলার পথকে বারংবার কাঁটাতার দিয়ে বন্ধ করে দিতে চায়। তারা আমার দেশকে, আমার বাংলাকে আমার ভাষা ও সংস্কৃতি চেতনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করতে চায়।
সে সব জ্বালাতনের বেদনা ও ক্রোধ বারবার এসব রচনাতে প্রকাশ করেছি। মন্দ যে করিনি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে একই কথা বারংবার এসে গেছে বলে, কেউ যদি ত্রুটি ধরেন, তবে নীরব থাকব। সুখের কথা বারবার বলব, আর দুঃখের কথা বেশি করে বলব না, তাতো পারি না।
ভাষা নিয়ে, দেশ নিয়ে আর সংস্কৃতি নিয়ে আমার মনের কথা বলে নিতে পারলাম, তাতেই আমার সুখ। এ রচনাগুলো একটা বিশেষ সময়ের। যে সময়কে আমি হারামি সময় বলেছি। আর সে সময় বাংলার মানুষের কাছে গভীর অন্ধকারের সময়। বলাবাহুল্য আমি দু হাজার দুই থেকে ছয়ের কথা বলছি। এ গ্রন্থে প্রকাশিত রচনাগুলো দৈনিক জনকণ্ঠ, দৈনিক আজকের কাগজ ও কয়েকটি সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
এ গ্রন্থে ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শত সহস্র কর্মী অংশ নিয়েছেন। রাজধানী ঢাকার বাইরে জেলা মহুকুমা শহরেও আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। সকলের নাম সংগ্রহ এবং উল্লেখ করা সম্ভব হয়নি বলে আমি দুঃখিত।
বিশ্বসাহিত্য ভবন আমার ভাবনা আর রচনাকে ভালবেসে বই হিসেবে ছাপিয়ে চলেছেন, তাতেও আমার আনন্দ।
জয় হোক বাংলা ভাষার, জয় হোক বাংলাদেশের।
আষাঢ়, ১৪১৪
মমতাজউদদীন আহমদ
কম দেখান