"স্যার ঘোষণার মতো করে বলে চললেন, 'আমি অনেক ভেবে দেখলাম নেতৃত্বে নতুন-পুরাতনের সমন্বয় দরকার। এই নতুন ছেলেটার মাথায় আছে নতুন ধরনের চিন্তা, নতুন ধরনের চেতনা, নতুন ধরনের ক্ষমতা।'
রাজীব বলল, 'স্যার, আপনি এত কিছু জানলেন কী করে? রবির সঙ্গে তো আপনার কথাই হয়নি।' স্যার একটু বিব্রত হলেন যেন। কিন্তু স্যারদের...
আরো পড়ুন
"স্যার ঘোষণার মতো করে বলে চললেন, 'আমি অনেক ভেবে দেখলাম নেতৃত্বে নতুন-পুরাতনের সমন্বয় দরকার। এই নতুন ছেলেটার মাথায় আছে নতুন ধরনের চিন্তা, নতুন ধরনের চেতনা, নতুন ধরনের ক্ষমতা।'
রাজীব বলল, 'স্যার, আপনি এত কিছু জানলেন কী করে? রবির সঙ্গে তো আপনার কথাই হয়নি।' স্যার একটু বিব্রত হলেন যেন। কিন্তু স্যারদের তো সামাল দিতে বিশেষ সময় লাগে না। বললেন, 'আমি কি তোদের মতো নাকি! আমার একটা অন্তর্দৃষ্টি আছে। গভীর অন্তর্দৃষ্টি। তা দিয়েই...'
স্পষ্টই বোঝা গেল স্যার সত্য কথা বলছেন না। কিছু একটা লুকাচ্ছেন।
কী লুকাচ্ছেন! কেনই বা!"
"জহির চাচা চলে গেলেন আর্টসে। বিজ্ঞানের ভূতও আর মাথায় নেই। কিছুদিনের মধ্যেই মাথায় ভিড় করলেন সক্রেটিস, পেটো এঁরা সবাই। এঁদের ভারেই কিনা তিনি একটু নেতিয়ে পড়লেন। একা একা কথা বলেন। হো হো করে হাসেন। কেউ কাছে গেলে বলেন, 'খবরদার! কাছে আসবে না। আসবে না বলছি।'
ওই পক্ষ থেকে অবশ্যই পাল্টা প্রশ্ন আসত, 'কেন? কাছে আসতে দোষ কী?'
'আমি এখন সক্রেটিসের সঙ্গে কথা বলছি। খুব জমে গেছে আলোচনা।'
'ও!'
'খুব জটিল একটা ধাঁধা ধরেছি। সক্রেটিস পারছেন না।'
'এ জন্যই তাহলে এমন হাসি?'
'হ্যাঁ। সক্রেটিসকে আটকে ফেলেছি। এখন হাসব না?"
"বললাম, 'মামা, তোমার এক বন্ধু এসেছিল।'
'আমার বন্ধু? নামটা কী?'
'সাব্বির।'
শক খাওয়ার মতো চমকে ওঠে মামা। বলে, 'হতেই পারে না।'
'হতে পারে না! কেন?'
'কারণ, সাব্বির ১০ বছর আগে মারা গেছে।
কম দেখান