সার্ত্রের দর্শনের আলোচনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুগে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই একটি নতুন দর্শনের কথা শোনা
যেতে লাগল। জাঁ-পল সার্ত্র এই দর্শনের প্রচারক হিসেবে পরিচিত হলেও, তিনি এর প্রবর্তক নন। এর প্রতিষ্ঠাতা
হিসেবে ডেনমার্কের সোরেন কিয়েরকেগার্দের (১৮১৩-১৮৫৫) নাম করা হয়।
এই বইতে তাঁর দার্শনিক সত্তাবাদ, মানুষ, সমাজ, রাজনীতির আলোকে তাকে...
আরো পড়ুন
সার্ত্রের দর্শনের আলোচনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুগে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই একটি নতুন দর্শনের কথা শোনা
যেতে লাগল। জাঁ-পল সার্ত্র এই দর্শনের প্রচারক হিসেবে পরিচিত হলেও, তিনি এর প্রবর্তক নন। এর প্রতিষ্ঠাতা
হিসেবে ডেনমার্কের সোরেন কিয়েরকেগার্দের (১৮১৩-১৮৫৫) নাম করা হয়।
এই বইতে তাঁর দার্শনিক সত্তাবাদ, মানুষ, সমাজ, রাজনীতির আলোকে তাকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
আধুনিক যুগে, অনেকেই অস্তিবাদকে দর্শনের জগতে একটি নতুন দিক পরিবর্তন বলে মনে করেছেন এবং দার্শনিক
মহলে যখন দার্শনিক তত্ত্বকে অর্থহীন, অবাস্তব কল্পনা ও ভাষার সমস্যা বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তখন
মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে জগৎ ও জীবনের অর্থ অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা নিশ্চয়ই স্বাগত। প্রচলিত-দর্শনের
মতো সুপরিকল্পিত শৃঙ্খলা ও যুক্তি বন্ধন এর মধ্যে নেই। তবু এই দর্শন সমস্ত পৃথিবীর চিন্তা-মানুষে আলোড়ন
তুলেছে এবং একে অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়।
মানবিক অস্তিত্ব কাকে বলে, ব্যক্তিমানুষ আর যাদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক কী? মানুষ জগতে
যে মূল্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তা তার কোন অভাব বোধ থেকে আসা এই ভাব কি মানুষের প্রকৃতিতে নিহিত, নাকি জগতের সঙ্গে সম্বন্ধের ক্রিয়া ও
প্রতিক্রিয়ায় মূল্যের জন্য তার অন্তরে এক মহান ক্ষুধা জেগে ওঠে।
অন্যান্য দর্শনের মতো অস্তিবাদও জগৎ ও মানুষের সঙ্গে জগতের সম্পর্ককে উপলব্ধি করতে চেষ্টা করে। জগতের বেলায় যেমন,
মানুষের বেলায়ও তাঁরা সেইরকম মনে করেন, একটি আত্ম-স্বরূপ আছে এবং মানুষকে সেই স্বরূপ জানতে হবে।
মানুষ যদি সেই তত্ত্বকে জানতে পারে তা হলে মানুষ পৃথিবীর দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে বলেও অনেকে মনে করেন।
দর্শনের ইতিহাসে, বিশেষ করে পাশ্চাত্য দর্শনে যাঁরা যুক্তিবাদী দার্শনিক বলে অভিহিত,
তাঁরা, যেমন প্লেটো, দেকার্ত, হেগেল ইত্যাদিরা মনে করেন, মানুষের একটি সারধর্ম (বংংবহপব) আছে। এই
সারধর্মই তার অস্তিত্বকে নির্ধারণ করে।
কম দেখান