চর্যাপদ থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত, বিশেষ করে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে প্রগতির ধারা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে তিন খণ্ডের এই গ্রন্থে। প্রথম খণ্ডটি দুইটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডের প্রথম পর্ব উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয় পর্বে এসেছে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র ও নজরুল।
উনবিংশ শতাব্দীতে যে সামন্ত...
আরো পড়ুন
চর্যাপদ থেকে শুরু করে বর্তমান কাল পর্যন্ত, বিশেষ করে উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে প্রগতির ধারা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে তিন খণ্ডের এই গ্রন্থে। প্রথম খণ্ডটি দুইটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডের প্রথম পর্ব উনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয় পর্বে এসেছে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র ও নজরুল।
উনবিংশ শতাব্দীতে যে সামন্ত ধ্যান-ধারণার বিপরীতে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল এবং পরবর্তীতে বিংশ শতাব্দীতে যে সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার বিকাশ ঘটেছিল, তার প্রতিফলন পাওয়া যায় সাহিত্যেও। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, শ্রেণীশোষণের বিরুদ্ধে, নারীমুক্তির স্বপক্ষে, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপাদান যে সাহিত্যে উজ্জ্বল হয়ে আছে, লেখক তাকেই বলছেন প্রগতির ধারা। এই খণ্ডে প্রথম পর্বে উনবিংশ শতাব্দীর সকল বড় ও মাঝারী মাপের কবি ও সাহিত্যিকের এবং দ্বিতীয় পর্বে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র ও নজরুল-এর রচনাসমূহ লেখক অসামান্য দক্ষতা সহকারে বিশ্লেষণ করেছেন এবং প্রগতির ধারা সন্ধান করেছেন। কোন সাহিত্য কোথায় কতটা প্রগতিশীল এবং কোথায় পশ্চাৎপদ বা প্রতিক্রিয়াশীল ধ্যান ধারণার সঙ্গে আপোস করেছে তা লেখক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন।
সাহিত্য ও সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য এই গ্রন্থটি বিশেষ মূল্যবান বলে বিবেচিত হতে পারে।
কম দেখান