আব্বুকে মনে পড়ে’ হুমায়ুন আজাদ-এর লেখা এক হৃদয়ছোঁয়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস। এক বিষণ্ন সুন্দর তরুণের কণ্ঠে উঠে আসে তার হারানো বাবার স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো এবং তার জীবনের এক শূন্যতা। তার আব্বু মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, আর ফেরেননি। এই না-ফেরার বেদনা তাকে বড় করে, গভীর করে। এক শিশুর চোখ দিয়ে দেখা যুদ্ধ, স্বাধীনতা,...
আরো পড়ুন
আব্বুকে মনে পড়ে’ হুমায়ুন আজাদ-এর লেখা এক হৃদয়ছোঁয়া মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস। এক বিষণ্ন সুন্দর তরুণের কণ্ঠে উঠে আসে তার হারানো বাবার স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো এবং তার জীবনের এক শূন্যতা। তার আব্বু মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, আর ফেরেননি। এই না-ফেরার বেদনা তাকে বড় করে, গভীর করে। এক শিশুর চোখ দিয়ে দেখা যুদ্ধ, স্বাধীনতা, স্বপ্ন, স্মৃতি এবং অশ্রুভেজা ভালোবাসার গল্প—এই উপন্যাস হয়ে ওঠে এক মর্মস্পর্শী কাহিনি। কিশোরদের জন্য হলেও, এই উপন্যাস ছুঁয়ে যায় সব বয়সী পাঠকের হৃদয়।
সে এক বিষণ্ন সুন্দর তরুণ, জীবন যাপন করে যাচ্ছে সে; কিন্তু সে পড়ে আছে তার সবচেয়ে সুন্দর সবচেয়ে মধুর, সবচেয়ে মহান স্মৃতির মধ্যে। আব্বুকে তার মনে পড়ে এবং মনে পড়ে না। মনে পড়ে না বলেই আব্বুকে তার বেশি মনে পড়ে। একটি মহাযুদ্ধ এসেছিল তার জীবনে। সবার জীবনে। ওই মহাযুদ্ধের নাম মুক্তিযুদ্ধ। তার সুন্দর মধুর কবিতায় ভরা আব্বু গিয়েছিল সেই মহাযুদ্ধে। আর ফেরেনি। তারপর সকলের জীবন ভ’রে উঠেছে স্বাধীনতায়; কিন্তু তার জীবন ভরেনি আব্বু ফেরে নি বলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ছিলো শিশু, এই উপন্যাসে সে বলেছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা। তার সুখের কথা। স্বপ্নের কথা। আনন্দের কথা। বুকের ভেতরে জ’মে থাকা জলের কথা। হুমায়ুন আজাদ কবিতার মতো করে শিশুকিশোরদের বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের এমন গল্প, যা বুকে জাগিয়ে দেয় হাহাকার।
কম দেখান