পঞ্চগড়ের মেয়ে তুতুল ফুল, পাখি, গান ও নদী ভালোবাসে। ওর আব্বুর কাছ থেকে এসব শিক্ষা পেয়েছে ও। একদিন স্কুল থেকে ফিরে উঠানে আব্বুর মরদেহ দেখতে পেল। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। ওর আম্মু সামিরার চারপাশ শূন্য হয়ে গেল। ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল আপনজনেরা। মেয়েকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ...
আরো পড়ুন
পঞ্চগড়ের মেয়ে তুতুল ফুল, পাখি, গান ও নদী ভালোবাসে। ওর আব্বুর কাছ থেকে এসব শিক্ষা পেয়েছে ও। একদিন স্কুল থেকে ফিরে উঠানে আব্বুর মরদেহ দেখতে পেল। সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। ওর আম্মু সামিরার চারপাশ শূন্য হয়ে গেল। ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল আপনজনেরা। মেয়েকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন-এটাই সামিরার শেষ স্বপ্ন। মেয়েকে নিয়ে তিনি একদিন পাড়ি জমালেন রাজধানী ঢাকায়। গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে মেয়ে তুতুলকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। তারপর শুরু হয় মা-মেয়ের জীবনযুদ্ধ। বস্তিতে থাকে তুতুল। টিউশনি করে। স্কুল ছুটির দিনগুলোতে সহপাঠী স্নিগ্ধর সঙ্গে পুতুল তৈরির কারখানায় কাজ করে। এ কারণে স্কুলে ওকে সহপাঠীরা অন্যচোখে দেখে। কেউ বন্ধুত্ব করতে চায় না। তুতুল এত অবহেলাতেও দমে না। মনের মধ্যে কঠিন শপথ। সে বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম হয়ে তাক লাগিয়ে দেয় শিক্ষক ও শিক্ষার্র্থীদের। কী করে সম্ভব হলো এটা? হঠাৎ তুতুলের মার যক্ষ্মা হলো। তুতুল দুচোখে আঁধার দেখছে। তার কি আর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে? মা-মেয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। হঠাৎ ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের কৌতূহলী চোখ টিভি পর্দায়। সবাই তুতুলকে দেখছে। কী এমন ঘটনা ঘটল তুতুলের জীবনে?
প্রিয় পাঠক সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন সাঈফ আবেদীনের অসাধারণ এক সৃষ্টি তুতুলের ছুটির সকাল উপন্যাসে। উপন্যাসটি সব বয়সী পাঠকের ভালো লাগবে।
কম দেখান