দুইশ বছরের নির্যাতিত মানুষের সংগ্রামের ফসল বাংলাদেশ। এই সংগ্রামের ঐতিহাসিক সূত্র ও আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের যে ধারাবাহিক যোগাযোগ রয়েছে তারই বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রন্থে।
এই আন্দোলনের জন্ম ইংরেজবিরোধী কৃষক বিদ্রোহের সূতিকাগারে এবং এই সংগ্রাম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিতে শুরু করে পূর্ববঙ্গের উত্থানে, যেটি আর্থসামাজিক-ভৌগোলিক দিক থেকে আজকের বাংলাদেশ। নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন...
আরো পড়ুন
দুইশ বছরের নির্যাতিত মানুষের সংগ্রামের ফসল বাংলাদেশ। এই সংগ্রামের ঐতিহাসিক সূত্র ও আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের যে ধারাবাহিক যোগাযোগ রয়েছে তারই বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রন্থে।
এই আন্দোলনের জন্ম ইংরেজবিরোধী কৃষক বিদ্রোহের সূতিকাগারে এবং এই সংগ্রাম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিতে শুরু করে পূর্ববঙ্গের উত্থানে, যেটি আর্থসামাজিক-ভৌগোলিক দিক থেকে আজকের বাংলাদেশ। নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় রাজনৈতিক দাবিতে এবং প্রধানত কৃষকসমাজের ভোটেই রাজনীতি পরিচালিত হয় ১৯৩৭ সাল থেকে।
১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে ছিল ‘স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান’, যেটি কেন্দ্রীয় মুসলিম লীগ ১৯৪৬ সালে পরিবর্তন করে একক কেন্দ্রীয় পাকিস্তান বানায়। এর প্রতিবাদে বঙ্গীয় কংগ্রেসের সাথে বঙ্গীয় মুসলিম ‘যৌথ বাংলা’ আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কংগ্রেস এর বিপক্ষে থাকায় সেটি ভেস্তে যায়। বঙ্গীয় কংগ্রেস বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব করে।
পাকিস্তানের জন্মের আগেই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার তৎপরতা শুরু হয়, যেটি সাফল্য পায় ১৯৭১ সালে। সকল পর্যায়ের রাজনীতিবিদরা জোট করেছেন কৃষকসমাজের সাথে, যারা ইতিহাসের প্রধান শক্তি। এই ধারাবাহিকতার ইতিহাস সমাজ থেকে, রাজনীতি থেকে যুদ্ধের মাঠ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
কম দেখান